• July 14, 2024

আমার বাসার পিয়ন ছিল, এখন ৪০০ কোটির মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না: প্রধানমন্ত্রী

আমার বাসার পিয়ন ছিল, এখন ৪০০ কোটির মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না: প্রধানমন্ত্রী
Please follow and like us:
0
fb-share-icon20
Tweet 20

আজকের পত্রিকাঃ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার বাসার কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটা বাস্তব কথা। কী করে বানাল এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’

আজ রোববার গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কথা ছিল, সেটা আমরা করেছি। জঙ্গিবাদ যখন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম, এখন দুর্নীতি যেটা আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে, আমরা ধরছি। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলে তো জানা যেত না। এভাবেই চলত। কারণ, এভাবেই চলছিল। সেই ’৭৫-এর পর থেকেই এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবেই। এখানে কোনো দ্বিধা নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে এটা ধরলে আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমার দায়িত্বই হচ্ছে যে সকল অনিয়মগুলো আছে, সেটা ধরে একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে আসা। সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসা। সেটা করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটা অব্যাহত থাকবে।’

বিসিএসের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে যারা উত্তীর্ণ হয়ে, চাকরি করছে, খুঁজে বের করা গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নেব না কেন? তাদের তো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। এখন সেটা খুঁজে দেবে কে? ওরা যদি বলতে পারে যে অমুকের কাছে বিক্রি করেছে, তখন প্রমাণ করতে পারলে সেটি দেখা যাবে।’

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হলেও ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যারা অফিসার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও সেটি বিশ্বাস করি, বেনিফিশিয়ারি যারা, তাদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ করবে না। কারণ, ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে, উভয়েই অপরাধী। এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে, দুজনেই অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? সাংবাদিকেরা যদি চেষ্টা করে বের করে দেয়, ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি একটা কথা বলি, ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো, এটা কোনো পরীক্ষা-টরীক্ষা না। ওই হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো আর সেই তালিকায়ই হতো।

‘সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটা বিশেষ কামরা তাদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চবাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা এই অনিয়মগুলো তো তখন থেকেই শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে এই জিনিসটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রুপটা কী করে যেন আবার এখানে জায়গা করে ফেলে, যেটা এখন ধরা পড়েছে।’

Please follow and like us:
0
fb-share-icon20
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *